গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দিনভর ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হয় চট্টগ্রামবাসীকে। ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে ত্রুটির কারণে দিনভর নগরীতে বাসাবাড়ি, গাড়ির গ্যাস থেকে শুরু করে শিল্প প্রতিষ্ঠানে ছিল অচলাবস্থা।
দিনভর ভোগান্তির পর শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীতে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেেআরও একদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের পর থেকে চট্টগ্রাম পুরোপুরি আমদানি করা এলএনজি গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। জেলায় প্রতিদিন গড়ে ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত এক মাস ধরে চট্টগ্রামের অধিকাংশ বাসা বাড়িতে গ্যাস সংকট চলছিল। এর ভেতর শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) হঠাৎ করেই পুরোপুরি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে দুর্ভোগ। গ্যাস বন্ধ থাকায় রেস্তোরাঁয় খাবারের জন্য ভিড় করেন অনেকে। কেউ ইলেক্ট্রিক চুলা ও লাকড়ি জ্বালিয়েও রান্না করেন। একই কারণে চট্টগ্রামের ছোট বড় শত শত শিল্প প্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে যায়।
কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড জানায়, মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনালের একটিতে গত অক্টোবর মাস থেকে সংস্কার চলছে। একটি টার্মিনালে বৃহস্পতিবার রাতে ত্রুটি দেখা দিলে পুরো চট্টগ্রামে বন্ধ হয়ে যায় গ্যাস সরবরাহ।
কেজিডিসিএলের জিএম (অপারেশন) গৌতম কুন্ডু বলেন, ‘ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে চট্টগ্রামে পুরোপুরি বন্ধ হয় যায় গ্যাস সরবরাহ। এতে ভয়াবহ দুর্ভোগ পড়ে পুরো চট্টগ্রাম।’
এদিকে পেট্রো বাংলা জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টার ভোগান্তি শেষে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে শনিবার সকালে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টার পর এক্সিলারেট টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। বর্তমানে লো প্রেসার পাইপ-লাইন দিয়ে ১৫ এমএমসিএফডি দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে পাইপলাইনে চাপ বাড়লে ধীরে ধীরে ১০০ এমএমসিএফডি গ্যাস দেওয়া শুরু করবে।
১০০ এমএমসিএফডি স্থায়ী হলে পরবর্তী ১০০ এমএমসিএফডি সরবরাহ করবে। শনিবার সকালে ৩০০ এমএমসিএফডি সরবরাহ করার ব্যাপারে আশাবাদী পেট্রোবাংলা। পরবর্তী ১২ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে।