অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমার চাকরি আসলে কেড়ে নেয়া হয়েছে। আমাকে জোর করে এ কাজে আনা হয়েছে। আমি আমার কাজ করছিলাম এবং তা উপভোগ করছিলাম। আমি প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে টেনে আনা হয়েছে অন্য কিছু করার জন্য। সুতরাং আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরে যেতে পারলে খুশি হব, যা আমি আমার সারাজীবন ধরে করেছি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচন আয়োজনের পর কী করবেন ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও বর্ষসেরা দেশের (কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার) তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্ট। তালিকায় শীর্ষ দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎকার নেয় সাময়িকীটি।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ঝুঁকি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমি আশ্বস্ত করছি যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না। তরুণেরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটা শুধু এক দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় না। বাংলাদেশ যা করেছে এটি একটি উদাহরণ যে তরুণরা কত শক্তিশালী। আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেয়া। বিশেষ করে তরুণীদের ওপর।’
তিনি আরও বলেন, তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে। তাদের সক্ষমতাও রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে। তারা সক্ষম। এই তরুণরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়। তারা এই শতাব্দীর তরুণ। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।