Google search engine
প্রচ্ছদঅর্থ-বাণিজ্য১৫ শতাংশ কর দিলে কালো টাকা সাদা করা যাবে

১৫ শতাংশ কর দিলে কালো টাকা সাদা করা যাবে

বিনাপ্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ, নগদ টাকা এবং শেয়ারসহ যে কোনো বিনিয়োগ কর দিয়ে ঢালাওভাবে সাদা করার সুযোগ ফিরে আসছে। এবারের বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়েই তা বৈধ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

আগামী জুলাই থেকে এক বছরের জন্য কালোটাকা সাদা করার সুযোগ পাবেন আগ্রহীরা।

একই সঙ্গে প্রশ্ন ছাড়া জমি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কিনে থাকলেও এলাকা অনুযায়ী বেঁধে দেওয়া কর অনুযায়ী সেগুলো বৈধ করা যাবে।

এর আগে সবশেষ ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছিল। পরের অর্থবছরে সেই সুযোগ আর রাখা হয়নি। একই সঙ্গে প্লট, ফ্ল্যাট ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগও তুলে নেওয়া হয়।

তবে যে কোনো ব্যক্তি আয়কর আইন মেনে যেকোনো সময় নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করতে পারেন। তবে তখন তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকে।

আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত অর্থবিলে কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্ট পরিমাণে ওই কর পরিশোধ করে তাদের অপ্রদর্শিত সম্পদ ট্যাক্স রিটার্নে সংযুক্ত করে তাহলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ অন্য কেউই কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

আগামী ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ এর মধ্যে এই সুযোগ নিতে পারবেন কালো টাকার মালিকেরা।

অর্থ বিলে বলা হয়েছে, “নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সিকিউরিটিজ, আর্থিক স্কিম ও ইন্সট্রুমেন্ট এবং সকল প্রকার ডিপোজিট বা সেভিং ডিপোজিট ১৫ শতাংশ কর দিয়ে ট্যাক্স রিটার্নে প্রদর্শন করা যাবে।

”এর বাইরে যেকোন প্রকারের পরিসম্পদের ক্ষেত্রে নায্য বাজারমূল্যের ১৫ শতাংশ কর দিয়ে সেগুলোকে বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে।”

অপ্রদর্শিত জমি ও ফ্ল্যাট নির্ধারিত কর পরিশোধ সাপেক্ষে বৈধ করার সুযোগও দিতে যাচ্ছে সরকার। ফ্ল্যাট বা ভবন এবং জমির ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার হারে কর পরিশোধ করে এই সুযোগ নেওয়া যাবে। এই সুযোগ থাকছে আগামী পুরোটা অর্থবছর জুড়েই।

এ বিষয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, চলমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে পরিবর্তিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখা আবশ্যক। অর্থনীতিতে কার্যকর চাহিদা সৃষ্টি এবং তা বজায় রাখার নিমিত্ত পর্যাপ্ত সরকারি ব্যয় নির্বাহের জন্য একদিকে অধিক পরিমাণ রাজস্ব যোগান দিতে হবে এবং অন্যদিকে বেসরকারি খাতেও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গতিশীল রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ডেটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) চালুর ফলে বিভিন্ন কোম্পানির অপ্রদর্শিত আয় ও সম্পদ প্রদর্শনে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া, রিটার্ন দাখিলে করদাতার অজ্ঞতাসহ অনিবার্য কিছু কারণে অর্জিত সম্পদ প্রদর্শনে ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে।

”এই অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নে এই ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ প্রদান এবং অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি আয়কর আইনে কর প্রণোদনা সংক্রান্ত একটি অনুচ্ছেদ সংযোজনের প্রস্তাব করছি।”

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বিধান অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা স্থাবর সম্পত্তি যেমন, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট ও ভূমির জন্য নির্দিষ্ট করহারে এবং নগদসহ অন্যান্য পরিসম্পদের ওপর ১৫% কর পরিশোধ করলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকারের প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

বিশেষ-সংবাদ

বিনোদন