জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী— সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হয়েছে। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাবও করা হয়েছে। ফলে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি সুবিধা পুরোপুরি থাকছে না।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী শুল্ক বসানোর এই প্রস্তাব করেন।
তথ্য বলছে— বর্তমানে জাতীয় সংসদের সদস্যরা কোনো শুল্ককর ছাড়াই গাড়ি আমদানি করতে পারেন। ৩৬ বছর ধরে এই সুবিধা পেয়ে আসছেন তারা। এ কারণে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।
গাড়ি আমদানিতে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসে সম্পূরক শুল্ক থেকে। বর্তমানে গাড়ির ইঞ্জিনের সিসিভেদে ৪৫ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়িতে সম্পূরক শুল্ক বসানো হয়নি।
গাড়ির দাম ও আমদানি শুল্কের যোগফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক বসে। সাধারণ আমদানিকারকদের আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়। সুতরাং সংসদ সদস্যদের ওপর শুধু আমদানি শুল্ক বসার কারণে তাদের খুব বেশি রাজস্ব দিতে হবে না।
উল্লেখ্য, সংসদ সদস্যদের প্রথমবার শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা দেওয়া হয় জেনারেল এরশাদ সরকারের আমলে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালের ২৪ মে এ–সংক্রান্ত সুবিধা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ক্ষমতায় এসেও এই সুবিধা বহাল রাখে। সরকারি নথিপত্রে দেখা গেছে— সব দলের সংসদ সদস্যরাই শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি করছেন।