আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ । সরকারবিরোধী লক্ষ-লক্ষ মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন ।
১৯৮৯ সালে কমিউনিস্ট সরকারের পতনের পর এটাই বড় আন্দোলন । ক্ষমতাসীন “ন্যাশনালিস্ট ল এন্ড জাস্টিজ” পার্টির বিরুদ্ধে পোল্যান্ডের অধিকাংশ বিরোধী দল আন্দোলনে নেমেছে ।
ওয়ারশ মেয়রের অফিস জানিয়েছে, পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে । মূল্যস্ফীতি, জীবনযাপন ব্যয় বৃদ্ধি ও মহিলাদের অধিকারের মতো নানান বিষয়ে তারা এই সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমেছে ।
রবিবার পোল্যান্ডের রাজধানীতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে নাগরিকরা সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “এরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ক্ষুন্ন করেছে এবং স্বৈরাচারের পথে হাঙ্গেরি ও তুরস্ককে অনুসরণ করে সবার মাঝে ভয় তৈরি করছে”।
বিরোধী দলের অংশীদার ওয়ারশ এর মেয়র রাফাল ত্রজাসকোস্কি সরকারবিরোধী এই মার্চে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আনুমানিক ৫ লক্ষ লোক এই মার্চে অংশ নিয়েছেন।
৩৮ মিলিয়ন লোকের দেশ জুড়ে ক্রাকোসহ অন্যান্য শহরগুলিতেও বিশাল জনতা জড়ো হয়ে এই সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে পোল্যান্ডের সংবিধান লঙ্ঘন এবং মৌলিক অধিকার খর্ব করার অভিযোগ তোলে।
পোল্যান্ডে কমিউনিজমের পতনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সলিডারিটি আন্দোলনের নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট লেচ ওয়েলেসাও বিরোধী সিভিক প্ল্যাটফর্ম পার্টির নেতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কের সাথে মিছিলে অংশ নিয়েছেন। ওয়ারশ এর জনতা এ সময় “গণতন্ত্র” এবং “সংবিধান” বলে স্লোগান দেয়।
উল্লেখ্য, জারোস্লো কাকজিনস্কির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন আইন ও বিচার পার্টি দ্বারা ওয়েলেসা এবং টাস্ককে অপমান করা হয়েছিল।
র্যালিটি প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকির অফিস থেকে শুরু হয় এবং রয়্যাল ক্যাসেলে শেষ হয়। এখানে ডোনাল্ড টাস্ক আন্দোলনরত জনতাকে স্বাগত জানান এবং নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দেন।