পুলিশের ১৫ বছরের কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আইজিপি বাহারুল আলম বলেছেন, দলীয় স্বার্থে পুলিশ হেন অন্যায় নাই যা করে নাই। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির নাই।
গতকাল শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় এসএমপি কমিশনার মো. রেজাউল করিম, ডিআইজি মো. মুশফিকুর রহমানসহ পুলিশ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৫ আগস্টের পর দেশব্যাপী বিভিন্ন মামলায় যারা ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন কাউকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়ে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর লুট হওয়া ছয় হাজার অস্ত্রের মধ্যে এখনও দেড় হাজার অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে সিলেটের সাংবাদিক তুরাব নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ও ক্ষমা চেয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, এ মামলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে পুলিশ। বর্তমান এসএমপি কমিশনারের প্রতি আমার তেমন নির্দেশনা দেয়া আছে। তুরাবকে হয়তো আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব না, কিন্তু সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ সর্বোচ্চটুকু করবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পুলিশের কর্মস্পৃহা ফিরিয়ে আনাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। পট পরিবর্তনের সময় কোনো পুলিশ অফিসার মারা যাননি। যারা মারা গেছেন তারা সবাই ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিচে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মানতে গিয়ে তারা জনরোষে পড়েছেন। সুতরাং মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের চাঙা করাই আমাদের মূল কাজ।
রাজনৈতিক কুপ্রভাবমুক্ত পুলিশ প্রশাসন বিনির্মাণে সবাই কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, পরিবর্তিত পরিবেশে মামলার ক্ষেত্রে অসাধু ব্যক্তিরা সুবিধা নিয়েছে। অনেকে বাণিজ্য করছেন। এদের মধ্যে আবার কেউ সমাজের বড় নেতাও। তবে আমারা কথা দিচ্ছি- নিরীহ যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হবে না। বরং নির্দেশ দেয়া হচ্ছে- তাদের খুঁজে বের করে তদন্তকারী কর্মকর্তা যেন অভয় দেন, আশ্বস্ত করেন।
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, হুমকি ও চাঁদাবাজির বিষয়ে আইজিপি বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা চাইলে কেউ দেবেন না, ভয়ও পাবেন না। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আছি।