টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাওলানা জুবায়ের অনুসারী এস এম আলম হোসেন বাদী হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পশ্চিম থানায় এ মামলাটি করেন।
মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান সংবাদ মাধ্যমের কাছে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে ইজতেমা মাঠে মাওলানা সাদের অনুসারী মুসল্লিরা পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা সাদপন্থিদের মাঠে জোড় পালন করতে দেবেন না বলে ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে বুধবার ভোরের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের চারজন নিহত ও শতাধিক মুসল্লি আহত হন।
সংঘর্ষের পর বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়দানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশের গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর সাদ অনুসারীরা ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করেন। তবে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে মুরুব্বিদের নির্দেশনা অনুযায়ী, ইজতেমা ময়দানের যাবতীয় মালামাল পাহারা দিতে বিভিন্ন জামাতভুক্ত প্রায় ৫০০ সাথি মাঠে এসেছেন।
বিশ্ব ইজতেমার ৪২ দিন আগে জোড় ইজতেমায় এ সহিংস ঘটনা হতবাক করেছে ধর্মানুরাগীদের। এ ঘটনা আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের আগমনকে নিরুৎসাহিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
আগে বিশ্ব ইজতেমা এক পর্বে অনুষ্ঠিত হলেও মতভেদের কারণে দুই পক্ষ বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ইজতেমা।