মো. সাকিব, দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের কেটলি সমর্থক ছিলেন। নির্বাচন শেষ হলেও শেষ হয়নি প্রতিপক্ষের চোখ রাঙানি থেকে শুরু করে হুমকি। নির্বাচেনের পর ছেলে কয়েকদিন ধরে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এদিক-ওদিক লুকিয়ে থাকতো। জিজ্ঞেস করলে বলতো তাকে মেরে ফেলা হবে কেটলির সমর্থন করায়; বলছিলেন নিহত সাকিবের বাবা মো. ইয়াকুব আলী।
তিনি বলেন, ছেলেকে জিজ্ঞেস করলে বলতো তাকে মেরে ফেলা হবে কেটলির সমর্থন করায়। আমি তাকে বলেছি মরলে একসাথে মরবো। তুই আমাদের সাথে থাক। কিন্তু ওরা আমার ছেলেকে বাঁচতে দিল না।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার আত্মহত্যা করে সাকিব। সকালে দক্ষিণ পতেঙ্গা এলাকার ডেইলপাড়া আকবরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত সাকিবের বাবা মো. ইয়াকুব আলী বলেন, কে বা কারা হুমকি দিয়েছে নাম বলেনি। তবে সে গত চার-পাঁচদিন ধরে বলেছে আমাদের ফুল ফ্যামিলি টার্গেট। আমরা এমপির বিরুদ্ধে গিয়ে কেটলি মার্কাকে সমর্থন দিছি। তাই আমরা নাকি কেউ বাঁচবো না। আমাদের জন্য কেউ সুপারিশ করলেও কাজ হবে না।
নিহতের ফুফু শাহীনা আক্তার বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে প্রায়ই সাকিব আমাকে বলতো, আমি যেন ঘর থেকে বের না হই। আমি কেন বের হব না জিজ্ঞেস করলে উত্তরে বলে, কেটলির সমর্থন যারা করে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে মারধর করা হচ্ছে। নির্বাচনে কেটলি মার্কার সমর্থন করায় সাকিবকে বেশ কয়েকদিন ধরে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছিলো। তবে সে কারও নাম বলেনি ভয়ে। তাকে ছুরি-কিরিচও দেখিয়েছিল হত্যা করবে বলে। এই ভয়ে আমার ভাইয়ের ছেলে আত্মহত্যা করেছে।’
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, বিস্তারিত মৃত্যুর রহস্য তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে।