নব্বইয়ের দশকে বলিউডে রাজত্ব ছিল ডনদের হাতে। তারকারা তাদের ভয়ে গুটিয়ে থাকতো। একাধিক ‘ডন’ হিন্দি ছবিতে টাকা ঢালত তাদের কালো টাকা সাদা করার জন্য। বহু নায়ক-নায়িকার উপর তারা অধিকারও প্রতিষ্ঠা করতো। সেই সুবাধে ডনদের অনেক ‘স্নেহধন্য’ বলিউডে রাজত্ব চালাতেন। তার বদলে ডনদের ডাকা পার্টিতে তাঁদের উপস্থিত থাকতে হতো। আমন্ত্রণ না রাখলে? জীবন হতো হুমকির সম্মুখীন। আর এই কারণেই চট করে কেউ অপরাধ দুনিয়ার মাথাদের বিরাগভাজন হওয়ার চেষ্টাও করতেন না। কিন্তু এখানেও ব্যতিক্রম আমির খান। তিনি ওই সময়েই একের পর এক ডনের আমন্ত্রণ অগ্রাহ্য করেছিলেন।
জনপ্রিয় প্রযোজক মহাবীর জৈন সম্প্রতি মুখ খুলেছেন এই প্রসঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, “সত্যিই নব্বইয়ের দশকে বলিউডে ডনদের রাজত্ব ছিল। তাদের ভয়ে গুটিয়ে থাকতেন বলিউড তারকারা। আরব, আমিরশাহিতে প্রায়ই পার্টি হত তাদের। সেসব পার্টিতে ডাক পড়তো তারকাদের। মন থেকে না চাইলেও তারকারা সেই আমন্ত্রণ রাখতে বাধ্য হতেন। সেই সময় ডনদের পার্টিতে যোগ দেওয়া বহু তারকার নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। একমাত্র এই পথে হাঁটেননি আমির। একের পর এক আমন্ত্রণ তাঁর কাছেও এসেছে। তিনি বিনয়ের সঙ্গে সে সব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর ফলে যে কোনও সময় প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা খুন হয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু সেই ভয়ও তাঁকে টলায়নি এবং নিজের কথা শেষ পরযন্ত রেখেছেনও।
প্রযোজক মহাবীর আরও দাবি করেন, ক্রমশ এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। ধীরে ধীরে অনেকেই আমিরের পথে হেঁটেছেন । বলিউড এখন ডনদের কালো ছায়া থেকে মুক্ত। নীতির প্রশ্নে আপোষহীন মানুষ আমির তাই আজ বলিউডে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে।
প্রযোজক এও জানিয়েছেন, অনেকেই আমিরের এই ন্যায়-নীতি বুঝতে পারেন না। বেশির ভাগ মানুষই তাঁর মতো এক কথার মানুষকে ভুল বোঝেন। আমিরকে যারা সঠিক চেনেন তারাই জানেন, তাঁর মতো সৎ এবং পরিশ্রমী খুব কম জনই আছেন।