কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের তানজিমারখোলা (ক্যাম্প-১৫) আশ্রয়শিবিরে মোহাম্মদ রিদোয়ান (২৮) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে আশ্রয়শিবিরের ই-ব্লকের পানির টাঙ্কি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত মোহাম্মদ রিদোয়ান আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৫) এফ-৬ ব্লকের হাসু আলীর ছেলে। আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটেছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা নূর মোহাম্মদ বলেন, আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে ১০-১৫ জন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী রিদোয়ানকে তাঁদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর পাশের ই-ব্লকের পানির টাঙ্কি এলাকায় নিয়ে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে রিদোয়ানের বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করতে থাকে সন্ত্রাসীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, হামলাকারীরা মিয়ানমারের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য। রিদোয়ান ওই গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা এবং সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আজ সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। নিহত ব্যক্তির বুক ও পেটে ছুরিকাঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ মে উখিয়ার তানজিমারখোলা আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১৫) সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন শফিকুর রহমান (২৪) নামের আরেক রোহিঙ্গা। তিনি ওই আশ্রয়শিবিরের জি-৪ ব্লকের বাসিন্দা ফজল করিমের ছেলে।
পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন রোহিঙ্গা মাঝি, ১১ জন আরসা সদস্য, ১ জন স্বেচ্ছাসেবক ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা।