ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে সেখানে স্থলঅভিযানও চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। গত ৭ অক্টোবর থেকে বিমান হামলার পাশাপাশি ২৮ অক্টোবর স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরই মধ্যে প্রায় এক মাসের এই হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ৯ হাজার ৭৭০ মানুষ। এর মধ্যেই অধিকাংশই নারী ও শিশু।
বারবার আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উঠলেও তা প্রত্যাখ্যান করে গাজায় হামলার তীব্রতা আরো বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।
এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যেই সেই সাবমেরিন নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছেও গেছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক সাবমেরিন পাঠিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। এ নিয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) একটি বিবৃতি দিয়েছে। রবিবার গভীর রাতে দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৫ নভেম্বর ওহাইও-শ্রেণির একটি সাবমেরিন ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের দায়িত্বের এলাকায় পৌঁছেছে।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে- গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহি ওই সাবমেরিন মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো- আঞ্চলিক প্রতিপক্ষের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া যে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাত এড়ানোর চেষ্টা করছে।”
মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থান আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অত্যাচারের জবাব দিতে গত ৭ অক্টোবর ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ নামে একটি অভিযান চালায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
হামাসের এই হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে দেড় হাজার ইসরায়েলি। আহত হয়েছেন আরো ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি। এছাড়া সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকসহ আরও ২৩৯ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।
এরপর গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
অবশ্য সংঘাতের শুরু থেকে ইসরায়েলের পাশে রয়েছে আমেরিকা। তারা ইসরায়েলকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি সংঘাত শুরুর পর পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দুটি বিমানবাহী রণতরীও পাঠিয়েছিল। এবার পাঠালো পারমাণবিক সাবমেরিন। সূত্র: সিএনএন, আনাদোলু এজেন্সি