দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান থেকে পণ্য নিয়ে আসা সেই জাহাজ। শুক্রবার দুবাই-করাচি হয়ে এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝান নামের জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছায়। তবে প্রথমবারের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি কনটেইনার এনেছে জাহাজটি।
দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ফিডার লাইন্স ডিএমসিসি দুবাই-করাচি-চট্টগ্রাম-মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া-ভারত-দুবাই রুটে এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝান জাহাজটি চালু করেছে। রিজেন্সি লাইন্স লিমিটেড জাহাজটির বাংলাদেশের এজেন্ট। পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি এর আগে গত ১১ নভেম্বর প্রথম দুবাই থেকে করাচি হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছে।
জানা গেছে, প্রথমের চেয়ে দ্বিতীয় ট্রিপে দ্বিগুণের বেশি কনটেইনার এনেছে জাহাজটি। এতে চিনি, সোডা অ্যাশ, ডেনিম ফেব্রিক, সুতা, ডলোমাইট লুম্পস, ন্যাচারাল ডলোমাইট, শুঁটকি, ইউপিএস, আলু, রেডিয়েটর কোর ইত্যাদি মালপত্র এসেছে। জাহাজটি কনটেইনার খালাস ও খালি কনটেইনার লোডের জন্য বন্দরের এনসিটি জেটিতে ভিড়বে কাল রোববার।
কনটেইনার লোড-আনলোড শেষ করতে দু’দিন লাগবে। যাওয়ার পথে জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে ইন্দোনেশিয়ার জন্য ৪০০ টিইইউস (২০ ফুট দীর্ঘ হিসাবে) এবং মালয়েশিয়ার জন্য ৬০০ টিইইউস খালি কনটেইনার নিয়ে যাবে।
জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান মেরিন ভেসেল ট্রাফিক ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা হয় জাহাজটি। ১১ ডিসেম্বর করাচি বন্দর থেকে সর্বশেষ কনটেইনার বোঝাই করা হয় জাহাজটিতে।
চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ আগমন ও অবস্থানের তথ্য নিয়ে প্রতিদিনের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, এবার জাহাজটিতে সম্ভাব্য ৮২৫ একক কনটেইনার এসেছে। এর পর খালি কনটেইনার নিয়ে ফিরে যাবে এটি।
শিপিং এজেন্ট, বন্দর ব্যবহারকারী ও আমদানিকারকদের মতে, দুবাই-করাচি-চট্টগ্রাম রুটে সরাসরি কনটেইনার জাহাজ চালু হওয়ায় মেরিটাইমে গুরুত্বপূর্ণ দুই বিবেচ্য বিষয় ভাড়া ও সময় সাশ্রয় হচ্ছে। এতে আগ্রহী হচ্ছেন এ রুটের আমদানি ও রপ্তানিকারকরা। জাহাজটির বাংলাদেশি এজেন্ট ও মূল মালিক এ রুটে আরেকটি নতুন জাহাজ নামানোরও পরিকল্পনা করছেন।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর একই জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দরে ৩২৮ বক্স কনটেইনারে ৩৭০ টিইইউস কার্গো নামানো হয়। কনটেইনারগুলোর মধ্যে বেশির ভাগেই ছিল টেক্সটাইল ও কাচ শিল্পের কাঁচামাল।
এ ছাড়া পেঁয়াজ, আলু, গাড়ির যন্ত্রাংশ, রং তৈরির কাঁচামাল, চুনাপাথর, সোডা অ্যাশ, ম্যাগনেশিয়াম কার্বোনেট, ডলোমাইট ইত্যাদিও ছিল। এসব পণ্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশের আকিজ গ্লাস কারখানা, প্যাসিফিক জিন্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, নাসির গ্লাস, এক্স সিরামিকস, হাফিজ করপোরেশন, এমআর ট্রেডিংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।