Google search engine
প্রচ্ছদবিনোদনবেগম খালেদা জিয়ার চরিত্রে নিপুণ!

বেগম খালেদা জিয়ার চরিত্রে নিপুণ!

কিংবদন্তি গীতিকার-প্রযোজক ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। যেটির শিরোনাম ‘আপসহীন’। আর এ চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার।

জানা যায়, চলচ্চিত্রটি আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বায়োপিক। এক দশক আগেই, অর্থাৎ ২০১৩ সালে গোপনে এর শুটিং সম্পন্ন হয়েছিল। তখন প্রধান বিরোধীদল ছিল বিএনপি। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমাগত অস্থিরতার দিকে ধাবিত হলে সিনেমাটির বিষয়ে গোপন রাখা হয়। এবার ১১ বছর পর এবার তা আলোর মুখ দেখতে চলেছে।

২০২২ সালে মারা যান গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ছবিটি নিয়ে তাঁর অনেক স্বপ্ন ছিল বলে জানা গেছে। বাবার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে ছবিটি শিগগিরই মুক্তি দিতে চান গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ছেলে সরফরাজ আনোয়ার উপল।

তিনি বললেন, আমরা পারিবারিকভাবেও উদ্যোগ নিয়েছি বাবার সব সৃষ্টি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। বাবার নির্মিত শেষ চলচ্চিত্র এটি। দর্শক দেখলে বাবার আত্মা শান্তি পাবে। এটা শুধু যে একটা চলচ্চিত্র তা কিন্তু নয়, একই সঙ্গে সফল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার বায়োপিক। দেখলে দর্শক জানতে পারবে দেশের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা, ত্যাগ ও মহিমার কথা।

এদিকে, ব্যক্তিজীবনে আওয়ামী লীগের সমর্থক নিপুণ আক্তার। ছবিটিতে যুক্ত হওয়ার নেপথ্যের ঘটনা জানিয়ে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, একদিন গাজী মাজহারুল আনোয়ার আঙ্কেল আমার বাসায় আসেন। ছবিটির কথা জানালেন। তখন শাহ আলম কিরণ ভাইয়ের ‘৭১-এর মা জননী’ ছবির শুটিং চলছে। আমাকে আঙ্কেল বললেন, চলচ্চিত্রটি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে। আমাকে তাঁর চরিত্রেই রূপদান করতে হবে। জানতে চাইলেন, আমার আপত্তি আছে কিনা? জানালাম, অভিনেত্রী হিসেবে ম্যাডামের চরিত্রে অবশ্যই অভিনয় করা উচিত। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে রাজপথে সরব। আমি রাজি হওয়ায় আঙ্কেল খুব খুশি হলেন। জানালেন, আমার আগে জয়া আহসান ও নুসরাত ইমরোজ তিশার কথা উঠেছিল। তবে গাজী আঙ্কেলই হেলাল ভাইকে বলেছিলেন, নিপুণ হলে ম্যাডামের চেহারার সঙ্গে দারুণ মিলবে।

সিনেমাটিতে বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকায় রয়েছেন হেলাল খান। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছিল দৃশ্যধারণের কাজ। তখন দ্রুত পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ সম্পন্ন করে সেন্সরে জমা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন হেলাল খান। তবে এর আগেই গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) এই কর্মী। তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাস’র নেতা। পরিকল্পনা ছিল, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (৫ জানুয়ারি) আগে ছবিটি সারাদেশে মুক্তি দেবেন। কিন্তু হেলাল খান জেলে থাকায় গাজী মাজহারুল আনোয়ার আপসহীন মুক্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

বিশেষ-সংবাদ

বিনোদন