Google search engine
প্রচ্ছদরাজনীতিবিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিবির অভিযান: বিপুল পরিমাণ ককটেল জব্দ,...

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিবির অভিযান: বিপুল পরিমাণ ককটেল জব্দ, গ্রেপ্তার ৭

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ককটেল, পেট্রোল, বাঁশের লাঠি ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযান শেষে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘যারা গুজব ছড়াচ্ছে, এখানে অর্থ বিনিয়োগ করছে, অপরাজনীতি করেছে তাদের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে। এক দল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ব্যবহার করছে। তাদের গ্রেপ্তারে ডিবি বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে।’

আপনি কি বলতে চাচ্ছেন বিএনপি এই আন্দোলনের পেছনে জড়িত? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, তাদের (বিএনপি) কয়েকটি অঙ্গ-সংগঠন আজ প্রোগ্রাম করেছে। তারা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতেই আমাদের এ অভিযান।’

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল সোমবার দুপুর থেকে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। রাত ১০টার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর ১৫-২০টি স্থানে একযোগে সড়ক অবরোধ শুরু করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধে গোটা রাজধানী অচল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়াসহ দেশের প্রায় সর্বত্র শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে এসেছেন। দুপুরের পর থেকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব ও চানখারপুল এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে শিক্ষার্থী, পথচারীসহ ছয়জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

বিশেষ-সংবাদ

বিনোদন