আওয়ামী লীগ সরকার ১২ ডিসেম্বরকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছিল ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর। এবার ১২ ডিসেম্বরকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ এর পরিবর্তে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা করেছিল।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তথ্যমতে, গত এক যুগে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার সম্প্র্রসারণ করা হয়েছে। সরকারের দাবি, ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিজিটাল সেন্টার ও ডিজিটাল ডাকঘরের মাধ্যমে ৬০০ ধরনের ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। মোবাইল সিম নিবন্ধন হচ্ছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে। ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে।
গত এক যুগে দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। অনলাইনে অনেক সেবা মিলছে। ভার্চুয়াল লেনদেন বেড়েছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সভা-সেমিনার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকার এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রার কথা ঘোষণা করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়ে সরকার বলছে, দেশের তরুণ প্রজন্মই হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রতিটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে দক্ষ জনশক্তি।
বর্তমানে ৪৬ হাজারেরও বেশি সরকারি অফিস সরকারি ওয়েবপোর্টাল তথ্য বাতায়নে যুক্ত আছে। গড়ে উঠেছে ৪৬টি হাইটেক পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টার। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ দাবি করেছে দেশে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এখন বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৮ লাখ যা ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬১ লাখে।
তাছারাও মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, রাইড শেয়ারিং, ই-কমার্স খাত সম্প্রসারিত হয়েছে। স্কুল-কলেজে ভর্তি কার্যক্রম অনলাইনে হচ্ছে।