সোমবার সকালে নির্দেশনা জারি হওয়ার ঠিক কয়েকঘন্টা পরেই সংসদে ফিরে এলেন সাংসদ রাহুল। চারমাসের অপেক্ষার অবসান হলো। কংগ্রেস শিবিরের পাশাপাশি খুশির হাওয়া বইছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া শিবিরেও।
ইতিমধ্যে মুলতুবি হয়েছে লোকসভার অধিবেশন। রবিবার থেকেই সবার অপেক্ষা ছিল সোমবার সকালে কি ঘটে সে দিকে। নজর ছিল লোকসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তের দিকে। দিনের শুরুতেই দেখা গেল, সাংসদ পদ ফিরে পেলেন রাহুল। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সচিবালয় থেকে নির্দেশনা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়ে সেকথা।
মোদি পদবী মামলায় রাহুল গান্ধীকে শাস্তি দিয়েছিল সুরাট আদালত। দু’ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণার পর খারিজ হয়ে যায় রাহুলের সাংসদ পদ। সরকারি বাসভবনও ছাড়তে হয় তাঁকে। গুজরাটের নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছিল উচ্চ আদালতও।
সম্প্রতি গুজরাট হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে দেশের শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ রাহুলের আর সংসদে ফিরতে কোনও বাধা ছিল না, শুধু অপেক্ষা ছিল লোকসভার স্পিকারের নির্দেশের। রবিবারেই জানা গিয়েছিল, রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত, কেবল বাকি লোকসভার স্পিকারের স্বাক্ষরের। সোমবার সকালে লোকসভার স্পিকারের সচিবালয় থেকে নির্দেশনা জারি করে রাহুলের প্রত্যাবর্তনের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় চারমাস পর নিজের সাংসদ পদ ফিরে পেলেন তিনি।
এর পরেই খুশির মেজাজ দেখা যায় কংগ্রেস শিবিরে। উৎসবের মেজাজে মেতে উঠেছেন দলের নেতা-নেত্রীরা। মিষ্টি বিলি করতে দেখা যায় খোদ মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। বিরোধী শিবির মঙ্গলবার সংসদে মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা করেছে, সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় রাহুলও যোগ দেবেন মঙ্গলবার।