Google search engine
প্রচ্ছদচট্টগ্রামচট্টগ্রামে শাস্তির মুখোমুখি পুলিশের ৭ সদস্য

চট্টগ্রামে শাস্তির মুখোমুখি পুলিশের ৭ সদস্য

চট্টগ্রামে আবু বক্কর নামে এক ফ্রিল্যান্সারের প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ‘হাতিয়ে’ নেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ছয় সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ‘নেতৃত্বদাতা’ ডিবি ইন্সপেক্টর রুহুল আমিনের কাছে জরুরি ব্যাখা তলব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) স্পিনা রানী প্রামাণিক এ তথ্য জানান। ওই ঘটনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ডিবির অভিযুক্ত সদস্যদের সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যাদের বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উত্তর-দক্ষিণ জোনের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. বাবুল মিয়া, মো. শাহ পরাণ জান্নাত, মাইনুল হোসেন, জাহিদুর রহমান এবং আব্দুর রহমান। এ ছাড়া ঘটনায় নেতৃত্বদাতা হিসেবে অভিযুক্ত নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উত্তর-দক্ষিণ জোনের পরিদর্শক রুহুল আমিনের কাছে ব্যাখা তলব করা হয়েছে।

অভিযোগকারী ফ্রিল্যান্সার আবু বক্কর সিদ্দিকের ভাষ্য, তিনি নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার। প্রায় ১৪ বছর ধরে এ পেশায় আছেন। ফ্রিল্যান্সিং থেকে উর্পাজিত অর্থ তিনি ‘বাইনান্স’ নামের একটি অ্যাক্যাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করতেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে ও ফয়জুল নামের এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে যান ডিবির সদস্যরা। সেদিন রাতে নগরের মনসুরাবাদে ডিবি হেফাজতে ছিলেন তারা। তারপর তাদের আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু জামিনে আসার পর আবু বক্কর বুঝতে পারেন হেফাজতে থাকাকালে তার মোবাইলের ফ্রিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে বাইনান্স একাউন্ট থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি দুটি ব্যাংক একাউন্ট থেকে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয় আরও ১০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় পুলিশ ও আবু বক্কর পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

বিশেষ-সংবাদ

বিনোদন