দেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে রোজা। আর এ সময়টাতে যেমন থাকবে চট্টগ্রামের আবহাওয়া তারই জানান দিয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস বলছে— রমজানের শুরুতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠতে পারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। সপ্তাহজুড়ে তাপমাত্রা সামান্য কমবেশি হলেও দেখা মিলছে না বৃষ্টির।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা মেঘনাথ তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আজকে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আবার স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম। আগামী ২৪ ঘন্টায় অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আর দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।’
রমজানের সপ্তাহজুড়ে চট্টগ্রামের আবহাওয়ায় তাপমাত্রা এক-দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে জানিয়ে এ পূর্বাভাস কর্মকর্তা বলেন, ‘তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে যে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তার থেকে একটু এদিক সেদিক হবে। বড় কোনো পাথর্ক্য থাকবে না।’
এদিকে, বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সাল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। সেই ধারাবাহিকতার দিকেই এগুচ্ছে ২০২৪ সালও। অর্থাৎ বাংলাদেশে গরমকালের দৈর্ঘ্য বেড়েছে। এর আগে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও বলা চলে এখন সব ঋতুতেই তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি থাকছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী— কোন এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তাহলে তা হবে তীব্র তাপপ্রবাহ। আবার তাপমাত্রা যখন ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে তখন তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। যদিও রমজানের শুরুতে চট্টগ্রামের আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস