কাঁচাবাজারে মৌসুমী বাহারি সবজি আসতে শুরু করেছে। এতে শাক-সবজির দামেও এসেছে কিছুটা স্বস্তি। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কিছু কিছু সবজি ৮০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও অধিকাংশ সবজি এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকার ঘরে। শীতের এই সময়ে সবজির দাম আরও কমার কথা থাকলেও উর্ধ্বগতির বাজারে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে সবজি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বিক্রেতারা বলছেন, আর কিছু দিনের মধ্যেই বাজারে শীতকালীন সবজি বেশি করে আসতে শুরু করবে। তখন সবজির দাম অনেক কমে আসবে।
নগরীর বহদ্দারহাট বাজারে প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, টমেটো ১২০ টাকা, কাঁচা মারিচ ১০০ টাকা, বিচিওয়ালা শিম প্রতি কেজি ১০০, করোলা ১০০ টাকা, শসা কেজি ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, মুলা কেজি ৩০ টাকা, পেঁয়াজের পাতা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, মাঝারি সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সাধারণ শিম কেজি ৫০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি মুঠো ৩০ টাকা এবং শালগম ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা জাকির বলেন, যেভাবে কমার কথা ছিলো সেভাবে কমেনি। অন্য বছর সবজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে চলে আসে, এবার এখনও আসেনি। তবে দাম আগের চেয়ে কম।
ফাতেমা আক্তার নামের একজন গৃহিণী বলেন, কিছু সবজির দাম কমলেও অনেক সবজির দাম এখনও বেশি। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে সবজি কেনা গেলে বলা যেতো দাম কমেছে।
এদিকে বহদ্দারহাটে পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারে পাবনার দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতেও দেখা গেছে। এছাড়া চায়না আদা ১৬০ টাকা, চায়না রসুন ২১০ থেকে ২২০ টাকা, নতুন আদা ১০০ থেকে ১১০ ও নাটোরের রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে৷ গত কয়েক মাসের বাজারদর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পাইকারিতে আদার দাম কিছুটা কমেছে। রসুনের দাম প্রায় আগের মতোই রয়েছে।
এ ছাড়া গরু ৭৫০ টাকা কেজি ও খাশি ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারটিতে ফার্মের মুরগি ১৮০ টাকা, পাকিস্তানি ৩১০, দেশি ৫২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।