মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে যে বা যারা সংকট সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি হবে এবং সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার (১ জুন) সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দুপুরের দিকে তিনি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা পরিদর্শন এবং একটি মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
৩১ মের পর আর কোনো শ্রমিক নেয়া হবে না সেই ঘোষণা মালয়েশিয়া আগেই দিয়েছিলো। যারা নিবন্ধন করেছেন এবং ভিসা পেয়েছেন তাদের ৩১ মের মধ্যে যাওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছিলো দেশটি। তবে শেষ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় যেতে পারেনি। কয়েক হাজার শ্রমিক টিকিট ছাড়াই বিমানবন্দরে ভিড় করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের অনেকের কাছেই মালয়েশিয়ায় যাওয়ার স্বপ্ন অধরা রয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ করতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এই সংকট তৈরির পেছনে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বায়রার ওপর দোষ চাপিয়ে শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, মালয়েশিয়ায় পাঁচ লাখের ওপরে কর্মী প্রেরণের জন্য দেশটির সরকার কোটা দিয়েছিলো। সেই কোটা পূরণে কাজ করেছিলো বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সাথে কথা বলে কাদের ভিসা হয়েছে আর কাদের ভিসা হয়নি সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু বায়রা সেই তালিকা দিতে পারেনি। ফলে ফ্লাইটের সমস্যা হয়েছে।
সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরবর্তী সময়ে কর্মী পাঠানোর জন্য ২২টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারকে সময় বাড়ানোর জন্যও চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনো সেই চিঠির উত্তর আসেনি।
সমস্যা সমাধানে দূতাবাস ও মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার চায় বৈধপথে শ্রমিক বিদেশে যাবে, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাবে। আমাদের উদ্দেশ্য হয়রানি করা না, যারা হয়রানি করছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, অনিয়মের ঘটনায় চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে বাংলাদেশিদের জন্য আবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলে। তখন আবারো চক্র গঠন করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চে মালয়েশিয়া জানায়, দেশটি আপাতত আর শ্রমিক নেবে না। যারা অনুমোদন পেয়েছেন, ভিসা পেয়েছেন, তাদের ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে হবে।