২০১৩ সালে বিরোধের সুত্রপাত হয় মিসর ও তুরস্কের মধ্যে। সে সময় মিসরের ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্টকে তুরস্ক সমর্থন করলে রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে মিসর। ক্রমান্বয়ে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে।
তবে দীর্ঘ এক দশক পর মঙ্গলবার মিশর ও তুরস্ক নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করার লক্ষ্যে তাদের রাষ্ট্রদূতের নাম ঘোষণা করেছে।
যৌথ ঘোষণায় দু’দেশ বলেছে, তারা স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দু’দেশের মানুষের স্বার্থে এবং দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এরপর থেকে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও আর্থিক সম্পর্ক দ্রুত বাড়বে।
এর আগে ২০১৩ সালে মিসরের সেনাপ্রধান আব্দেল ফতাহ এল-সিসি দেশের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোরসিকে ক্ষমতাচ্যূত করেন। ওই সময় মোরসির শাসন নিয়ে জনগণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল।
তুরস্ক ওই সময় মোরসি ও তার মুসলিম ব্রাদারহুড গ্রুপকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু মিসর তখন ওই গ্রুপকে উগ্রবাদী সংগঠন বলে চিহ্নিত করে। এরপর মিশর তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। কূটনৈতিক সম্পর্ক চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার পর্যায়ে নামিয়ে আনে। এক বছর পর এল-সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং তারপর থেকে তিনি ওই পদে আছেন। এরপর লিবিয়াতেও দু’দেশ বিপক্ষ শিবিরকে সমর্থন করেছিল।
২০২১ থেকে অবস্থার পরিবর্তন হয়। ২০২২ সালে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় এল-সিসি ও তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান হাত মেলান। এবার পুরোদস্তুর কূটনৈতিক সম্পর্কও চালু হলো।