১১ বছরের খরা কাটলো। প্রথমবারের মতো ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা জিতলো স্পেন। রোববার (১৮ জুন) রটারডামে ১২০ মিনিটের লড়াই গোলশূণ্যভাবে শেষ হওয়ার পর গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। সেখানে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছিলো আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের খেলা। ডোমিনিক লিভাকোভিক শুরু থেকেই স্প্যানিশ আক্রমণ প্রতিহত করে ক্রোয়েশিয়ার শক্ত চরিত্রকে প্রমাণ করে যাচ্ছিলেন। প্রথমার্ধের ২০-২৫ মিনিট স্প্যানিশ আক্রমণ বলতে গেলে একাই ঠেকিয়েছেন লিভাকোভিক।
১২মিনিটেই গোল পেতে পারতেন গাবি। কিন্তু স্পেনকে বঞ্চিত করে তিনি বল পাঠিয়ে দেন পোস্টের বাইরে। ২৩ মিনিটে আন্দ্রে ক্রামারিক বলতে গেলে প্রায় ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আয়েমেরিক লাপোর্তের ক্ষিপ্র গতির কাছে তিনি হার মানেন।
তবে এরপর স্পেন সত্যিকার কোনো সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো লুকা মদরিচের নেতৃত্বাধীন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ড ধীরে ধীরে খেলা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়ার ইভান পেরিসিচ বাম পাশ থেকে বল নিয়ে উঠে এসে ক্রস দেন মারিও প্যাসালিককে। কিন্তু তিনি মিস করলেও জোসিপ জুরানোভিচ অসাধারণভাবে বলটি রিসিভ করে স্পেনের পোস্ট লক্ষ্যে শট নেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, বলটি চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে বাইরে।
৬৬ মিনিটে ইয়েরেমি পিনোর পরিবর্তে মাঠে নামেন আনসু ফাতি। ৮৪তম মিনিটে তিনি প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন। রদ্রি দারুণ একটি ক্রস করেন ফাতির উদ্দেশ্যে। কিন্তু পেরিসিক ছিলেন লাইনে। গোলরক্ষককে পরাস্ত করার আগেই তিনি বলটি ক্লিয়ার করে দেন।
অতিরিক্ত সময়ে এসে লোভরো মাজের গোলের মুখে পৌঁছে গিয়েছিলেন বল নিয়ে। কিন্তু ডিফেন্ডার নাচো তাকে গোল লক্ষ্যে শট নিতে ব্যর্থ করে দেন। এর একটু পরই স্পেনের দানি ওলমো দারুণ একটি শট নিয়েছিলেন। যা চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।
রুদ্ধশ্বাস ৯০ মিনিটের লড়াই শেষে এরপর আরো ৩০ মিনিট। ১২০ মিনিটের লড়াই শেষে ম্যাচ গড়ালো টাইব্র্রেকারে। সেখানেও হলো শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই। ৬টি করে শট নিয়েছে দুই দল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে হেরে যায় ক্রোয়েশিয়া।