গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগতীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব। তাবলিগ জামাতের সবচেয়ে বড় এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন দেশ ও বিদেশের লাখ লাখ মানুষ। এ ছাড়াও আজ ছুটির দিনে বৃহৎ জামাতে অংশ ও জুমার নামাজে যোগ দিতে সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার মানুষ দলে দলে ইজতেমা ময়দানের দিকে ছুটছেন। বাস, মোটরসাইকেল আবার কেউ পায়ে হেঁটে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন ইজতেমা ময়দানে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। বাংলা, উর্দু, হিন্দি, আরবি, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় এসব বয়ান অনুবাদ করে শোনানো হচ্ছে।
ইজতেমা মাঠের মুরব্বি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর নূর জাহান বলেন, তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে প্রতিবছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ইজতেমা ময়দানে সব কাজ করা হচ্ছে পরামর্শের ভিত্তিতে। আল্লাহর অশেষ রহমতে সভাপতিহীন বিশ্ব ইজতেমা এত বড় আয়োজন প্রতিবছরই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করা হয়। ময়দানে জেলাওয়ারি মুসল্লিদের অবস্থান, রান্নার স্থান, টয়লেট, অজু ও গোসলখানা সবই সুনির্দিষ্ট করা থাকে।
ইজতেমা ময়দানে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। নামাজে ইমামতি করবেন তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা জুবায়ের।
প্রথম পর্বের ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী জহির ইবনে মুসলিম জানান, শুক্রবার ফজর নামাজের পর বয়ান করেন- মাওলানা আহম্মেদ বাটলার, সকাল ১০টায় তালিম করেন মাওলানা জিয়াউল হক, জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা যোবায়ের। জুমার নামাজের পর বয়ান করবেন জর্ডনের খতিব ওমর, আছরের পর মাওলানা যোবায়ের ও মাগরিবের পর মাওলানা আহম্মেদ লাট বয়ান করবেন।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইজতেমায় গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের ছয় হাজার সদস্যের পাশাপাশি র্যাব, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ এবং পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।