বন্দরনগরী চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন ২৭ বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার ডা. এম জেড এ শরীফ।
অভিযোগ উঠেছে—ডা. শরীফ বিমানবন্দরে যাত্রীদের জরুরি চিকিৎসা সেবার আড়ালে অবৈধভাবে আনা স্বর্ণ ভিআইপি চ্যানেল দিয়ে বের করে তা চোরাচালান চক্রের কাছে পৌঁছে দিতেন।
শুল্ক কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের কাছে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডা. এম জেড এ শরীফকে নজরদারিতে রাখেন তারা।
আজ সোমবার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৯টায় একটি ফ্লাইটের যাত্রীর মাধ্যমে আসা চার স্বর্ণের বার ভিআইপি চ্যানেল দিয়ে পার করে দেওয়ার সময় জব্দ করা হয়। এই বারগুলো তল্লাশি করে ডা. এম জেড এ শরীফের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত যাত্রী আলাউদ্দিন শারজাহ থেকে এসেছেন বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
শুল্ক কর্মকর্তারা জানান, স্বর্ণের বারসহ বের হওয়ার সময় ডা. এম জেড এ শরীফকে চ্যালেঞ্জ করা হলে তিনি যাত্রীর অসুস্থতার কথা বলে তল্লাশি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। গোয়েন্দা তথ্য থাকায় তাকে তল্লাশি করা হলে তার প্যান্টের পকেট থেকে চারটি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। সেসময় যাত্রীসহ তাকে আটক করা হয়।
কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার আলিফ রহমান নির্ভুল বলেন, ‘ডাক্তার শরীফের বিষয়ে আগে থেকে তথ্য থাকায় গত ১০ দিন ধরে তাকে পর্যবেক্ষণ করছিলাম। আজ সকালে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে স্বর্ণ পাচারের সংবাদ পেয়ে তার শরীর তল্লাশি করে তার কোর্টের বুক পকেট থেকে এসব স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।’
‘যাত্রীসহ তাকে আটক করে রাখা হয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।