Google search engine
প্রচ্ছদরাজনীতিকালো টাকা আর পেশিশক্তির দিন শেষ: শফিকুর রহমান

কালো টাকা আর পেশিশক্তির দিন শেষ: শফিকুর রহমান

রাজনৈতিক দলগুলোকে ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এদেশের জনগণকে বোকা ভাববেন না। জনগণ অনেক সচেতন। রক্ত দিয়ে দিয়ে তারা সচেতন হয়েছে। যদি মনে করেন কালো টাকা আর পেশিশক্তি দিয়ে কিছু করবেন সেদিন শেষ। জনগণ এই সুযোগ আর কাউকে দেবে না।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার টাউন ফুটবল মাঠে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাদানকালে এসব কথা বলেন তিনি।

দুঃশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজের প্রত্যাশা তুলে ধরে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এমন একটি সমাজ চাই যে সমাজ হবে দুঃশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত। যেখানে দুর্নীতি সেখানে দুঃশাসন নিশ্চিত।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের অসংখ্য কর্মীকে খুন করা হয়েছে। ক্রসফায়ারের নামে আমাদের অসংখ্য কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আমাদের মনে অনেক দুঃখ ছিল। আমাদের কলিজার টুকরা সন্তান ছাত্র–যুবকদের আন্দোলনে ফ্যাসিবাদকে এ দেশ থেকে বিদায় করা হয়েছে। তারা (ফ্যাসিবাদী) এ দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে পালিয়ে গেছে। মানুষের কাছে মুখ দেখানোর সৎসাহস তাদের নাই।’

কর্মীসভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন। সভায় বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার আলী মহসিন, আবু বকর মোহাম্মদ আলী আজম, অধ্যাপক আবুল হাশেম, অধ্যাপক এমডি বাতেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আনোয়ারুল হক, সাবেক নায়েবে আমির আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, আসলাম অর্ক, শোভন দাস প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সাড়ে ১৫টা বছর আমরা কাজ করেছি চুপিচুপি। কারণ একটি ফ্যাসিবাদ সরকার জামায়াতের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের জঙ্গি আখ্যায়িত করা হয়েছিল। এভাবে গোটা জাতির উপর অন্যায় আচরণ করা হয়েছিল।’

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের দলের নেতাদের আমাদের বুক থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের দলীয় কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হয়নি। আমরা সবাই মিলে দেশটাকে গড়তে চাই। ওরা এই দেশটাকে কঙ্কাল করেছে, আমরা এই দেশের গায়ে চামড়া লাগিয়ে গড়তে চাই।’

চুয়াডাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘এখানে কিছু নেই কেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। আগামী একনেকে এখানে একটি মেডিকেল কলেজ দেওয়ার দাবি জানাই।’

spot_img
spot_img

এই বিভাগের আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

বিশেষ-সংবাদ

বিনোদন