ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপরে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশে দেশটির সরকারের নির্বিকার থাকাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যাপক টানাপোড়েন চলছে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যকার সম্পর্কে। এদিকে দুদেশের মধ্যে সীমান্তে উত্তেজনাও চলছে। অবশ্য এতসব উত্তেজনার মধ্যেও দুদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেগবান রাখার প্রয়াস জারি আছে। ফলস্বরূপ, ভারত থেকে ডিজেল আমদানি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। জানা গেছে, সম্প্রতি অনুমোদিত এক সিদ্ধান্তের আলোকে শিগগিরই ভারত থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সীমান্ত ইস্যুতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার ভেতরেই ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। রোববার (১২ জানুয়ারি) বিপিসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
বিপিসির বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, এই ডিজেল চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানি করা হবে এবং এর জন্য খরচ হবে ১ হাজার ১৩৭ কোটি বাংলাদেশি টাকা। এ বছর বিপিসির পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭৪ লাখ টন। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল, যার ৮০ শতাংশই সরাসরি আমদানি করা হয়ে থাকে।
আর বাকি অংশ স্থানীয় শোধনাগার থেকে পাওয়া যায়। মূলত, বিপিসি নিয়মিতভাবে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে থাকে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে রেলপথে বাংলাদেশে আসছে এই তেল।