অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ওপর যে ছায়া পড়েছে, দুই দেশের স্বার্থেই তা দূর করতে হবে।
রাজধানীতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক সচেতনতামূলক ও চালক পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি দুই দেশের মধ্যে একতাবদ্ধ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রভাব আমরা অস্বীকার করতে পারি না।
এদিকে, রাজনৈতিক সংস্কারে অগ্রগতির অভাব সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে এ বিষয়ে কয়েক দশকের স্থবিরতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর জবাবদিহি গ্রহণের আহ্বান জানান রিজওয়ানা।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে উপদেষ্টা প্রশ্ন করেন, যদি রাজনীতিবিদেরাই সংস্কার করেন, তবে গত ৫৩ বছরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি কেন?
তিনি আরও বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। এটি শব্দদূষণ প্রতিরোধ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আইনগত ব্যবস্থা দৃঢ় করবে। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে এবং শিগগিরই আইনটি প্রকাশ করা হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বিদেশে হর্ন দেয়া মানে হলো গালি দেয়া। রাজধানীতে যতগুলো সোসাইটি আছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। হর্নের যন্ত্রণায় মানুষ বিকার গ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। শব্দ দূষণের কারণে একটা অস্থির প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে।
২০২৩ সালের বিভাগীয় শহরগুলোতে জরিপ করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে রাজধানীতে সর্বোচ্চ শব্দদূষণ হয় ১২৯ দশমিক ৪ ডেসিমাল আর সর্বনিম্ন ৩০ দশমিক ৭ ডেসিমাল।