বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের তেমুহনী এলাকায় সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছেন, তেমুহনী এলাকায় আরও ৩টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের আগে তা সম্ভব নয়।
রোববার (২০ আগস্ট) থেকে শুরু হয় সংস্কার কাজের।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন,দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও হারবাং এলাকায় বাকি থাকা কাজও আগামী মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এসব কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলক ভাবে রেল চলাচল শুরু হবে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধন হবে। তবে এখনো পর্যন্ত তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পানির স্রোতে মাত্র ২৫০ মিটার এলাকায় পাথর, কংকর ও কিছুটা মাটি সরে গেছে। ফলে কয়েকটি স্থানে লাইন কিছুটা দেবে গেছে। আর কয়েকটি স্থানে পাথর, কংকর সরে যাওয়ায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমরা দেবে যাওয়া লাইন জগ দিয়ে সামান্য উঠিয়ে বালি, কংকর ও পাথর বসিয়ে দিচ্ছি। মূলত এভাবেই সংস্কার করা হবে।টেকনিক্যাল টিমের দেওয়া পরামর্শে যেখানে যেভাবে করতে বলবে সেভাবে করা হচ্ছে।
দোহাজারী–কক্সবাজার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক (ডিপিএম) মো. রাশেদুজ্জামান জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অংশের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এটা তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ক্ষতি নয়। পানির স্রোতে মাত্র ২৫০ মিটার এলাকায় পাথর, কংকর ও কিছুটা মাটি সরে গেছে। ফলে কয়েকটি স্থানে লাইন কিছুটা দেবে গেছে। আর কয়েকটি স্থানে পাথর, কংকর সরে যাওয়ায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখন আমরা দেবে যাওয়া লাইন জগ দিয়ে সামান্য উঠিয়ে বালি, কংকর ও পাথর বসিয়ে দিচ্ছি। মূলত এভাবেই সংস্কার করা হবে। এছাড়া টেকনিক্যাল টিমের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী যেখানে যেভাবে করতে বলবে সেভাবে করা হবে। তবে সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের সংস্কার কাজ এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে।