অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পর্যায়ে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওই বৈঠক শেষে বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন অন্তর্বর্তী সরকারের বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় বৈঠকের আলোচনার বিষয় জানানোর পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বৈঠকে তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা অংশ নেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা এবং এইচএসসির বিষয়ে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত বা আলোচনার সুযোগ হয়নি। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সাথে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও জরুরি। এখনও অনেক থানা তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। পরিস্থিতির উন্নতি হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এছাড়াও বৈঠকে মতপ্রকাশের বিষয়ে করণীয়, শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে মন্ত্রণালয়গুলো পরিচালনার জন্য আলোচনা, রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠনে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা, আর্থিক খাতগুলো সক্রিয় করতে নেতৃত্বস্থানীয় পর্যায়ে পরিবর্তন, ব্যবসায়িক পরিবর্ত সৃষ্টি, বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারের মেয়াদের বিষয়ে এখন আলোচনা করা সম্ভব না। কারণ, এখানে কী ধরনের রিফর্ম করা হবে, তার জন্য একটি সময় লাগবে। দিনশেষে আমাদের সবারই যাত্রা যেহেতু গণতন্ত্রের দিকেই। সেজন্য কী ধরনের সংস্কার করা হবে- তার ওপর এ সরকারের মেয়ার নির্ভর করবে।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় গত ১৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) ছাড়াও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর সহিংসতা ও কারফিউসহ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি।