পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে অশান্তির জেরে কেউ পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় চাইলে তাকে ফেরাবে না রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে আপত্তি জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকারও করে নেয়া হয়েছে। দিল্লি পৌঁছে অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, তিনি প্রতিবেশী বাংলাদেশ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সেটিকে বিকৃত করা হয়েছে এবং তিনি এমন কিছু বলেননি, যা বলা উচিত নয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশে সৃষ্ট পরিস্থিতির ভুক্তভোগী যেমন—শিক্ষার্থী, ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশি কিংবা অন্য কোনো কাজে ভারতে আসা বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্য করে তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্যকে বিজেপি এবং বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট অংশের লোকজন বিকৃত করেছে।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমরা চেয়েছি যেকোনো সমস্যা এড়াতে। যেহেতু আসাম বর্ডারের কাছে দাঙ্গা ছিল এবং দেখতে পেয়েছি সীমান্ত পুলিশ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ২ হাজার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফেডারেল কাঠামো আমি খুব ভালোভাবেই জানি। আমি সাতবার এমপি ছিলাম, দুবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। আমি অন্য কারও চেয়ে বৈদেশিক নীতি ভালো জানি। তারা যেন আমাকে শিক্ষা না দেয়, বরং তাদেরই সিস্টেম থেকে শেখা উচিত।’
এ সময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এক হাত নিয়ে মমতা বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু শিক্ষা নেয়া উচিত। কারণ তারা যখন তিস্তা ও গঙ্গার (পদ্মা) পানি চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একতরফাভাবে কাজ করছিল, তখন মূল স্টেকহোল্ডারকে (পশ্চিমবঙ্গ) জড়িত করেনি। তারা এটা ভুলে গিয়েছিল।’