কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সন্ত্রাসী গ্রুপের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীস্থ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে টোল প্লাজায় আসেন জাপা চেয়ারম্যান। পরে সেখান থেকে পুড়ে যাওয়া সেতু ভবনে যান। এসময় জাপা চেয়ারম্যান গাড়িতে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
রওশন এরশাদ বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষাও হারিয়ে ফেলেছি। যারা দেশের এতবড় ক্ষতি করেছে- তদন্তের মাধ্যমে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচার করা প্রয়োজন। কোনো দেশের নাগরিক রাষ্ট্রের সম্পদ এভাবে ধ্বংস করতে পারে না। যারা করেছে, তারা দেশের শত্রু।
তিনি বলেন, দেশের কোমলমতি ছাত্র সমাজ ন্যায়সঙ্গত কিছু দাবি জানিয়েছিলেন। আমরাও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ছাত্রদের দাবিও বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে চক্রান্তকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটায়- আন্দোলনে সহিংসতা দেখা দেয়। সে কারণে অনেক শিক্ষার্থীর অমূল্য জীবন হারিয়ে যায়। পাশাপাশি সাধারণ অনেক মানুষ এবং আইন-শৃংখলা বাহিনীর অনেক সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকে আহত অবস্থায় জীবন মৃত্যুর সঙ্গে সংগ্রাম করছেন। এই ক্ষতি পূরণ হবার নয়।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমি সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি। যারা মারা গেছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। এসময় রওশন এরশাদ বলেন, নিহতদের পরিবার পরিজনকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
পরে সেতু ভবনে পুড়ে যাওয়া বিপুল সংখ্যক যানবাহনের সামনে দাঁড়িয়ে দলের পক্ষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনূর রশিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির কো চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু, গোলাম সরোয়ার মিলন, সুনীল শুভ রায়। প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, আমানত হোসেন আমানত, এইচএনএম শফিকুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, শাহ জামাল রানা, উপদেষ্টা হাফসা সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, শেখ মাসুক রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিফাতুল ইসলামসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এরপর সেখান থেকে পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন, মিরপুর ১০ পুলিশ বক্সসহ ক্ষতিগ্রস্ত নগরীর বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পরে মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারে ভাঙচুর চালানো কাউন্সিলর কার্যালয় পরিদর্শন করেন।