কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ক্রেতা সাধারণের চোখ এখন পশুর হাটের দিকে। সেই সুবাদে দীর্ঘদিন পর কমেছে মুরগীর দাম। দুইশ টাকার নিচে নেমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তাল মিলিয়ে দাম কমেছে অন্যান্য জাতের মুরগিরও। তবে সবজিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও অস্বস্তি রয়েছে আলু পেঁয়াজের দামে। শুক্রবার (১৪ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও ২০০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও সোনালী পাকিস্তান জাতের মুরগি ৩০০-৩২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। লেয়ার মুরগি লাল ৩০০-৩২০ টাকা, সাদা ২৬০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকার উপরে।
এদিকে আবারও উত্তাপ ডিমের বাজারে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫৫-৬০ টাকা।
এদিকে সবজির বাজারে লম্বা বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০-৫০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৬০-৮০ টাকা, ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ টাকা, জালি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা কলা ডজন ৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গেল সপ্তাহজুড়ে প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা দেখা গেছে শশা টমেটোর বাজারে। প্রায় ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে এক কেজি শশা। টমেটোর কেজি ১৬০-১৮০। ২০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
মাছের বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ২০০ টাকার নিচে তেমন কোনো মাছ নেই। সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২০০-২৩০ ও পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা। যা গেল সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ২৮০ থেকে শুরু করে সাইজ ভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা। ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। চাষের কই বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা, চাষের শিং মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকায়।