চীনের সাথে সম্পর্ক টানাপড়েনের মাঝেই তাইওয়ানকে নতুন করে ৩৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস এ তথ্য জানিয়েছে। তাইওয়ানকে নতুন এ সামরিক সহায়তা ঘোষণা দেওয়ায় চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসি ও আল জাজিরা সুত্রে জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই প্যাকেজের মধ্যে ডিফেন্স আর্টিকেল, সামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ আছে। তবে এই প্যাকেজের আওতায় তাইওয়ানকে কী ধরনের অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি বাইডেন প্রশাসন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই প্যাকেজের মধ্যে গোয়েন্দা-নজরদারি ও রিকনেসান্স সরঞ্জাম এবং ছোট অস্ত্র গোলাবারুদও আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এ ঘোষণায় চীনকে ক্ষুব্ধ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাইওয়ানকে নিজেদের ভুখণ্ড বলে দাবি করে বেইজিং। দেশটি অঙ্গীকার করে দরকার হলে শক্তি প্রয়োগ করে তাইওয়ানকে নিজেদের দখলে নেবে।
এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ পেংইউ বলেছেন, তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি করা বন্ধ করা উচিৎ।