প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুগোপযোগী দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমেই আমাদের যুব সমাজের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। তাই দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে তাদের সচেতন করা, আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত করা ও কর্মসংস্থানের পথ নির্দেশনা প্রদান করার ক্ষেত্রে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস পালন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
আগামীকাল ১৫ জুলাই ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘের আহ্বানে প্রতি বছর ১৫ জুলাই ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ পালিত হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মহীন যুব সমাজকে জনশক্তিতে রূপান্তর ও তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এ দিবসের চেতনা।”
তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুবদের বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ অর্জন এবং তাদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার পথ নির্দেশকসমূহ হচ্ছে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জন এবং এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির ক্রমাগত বিবর্তনের নিরিখে দক্ষতার মান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারে দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগীকরণ, অভিন্ন সনদায়ন ব্যবস্থা প্রবর্তন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন ইত্যাদি বিষয় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষতা উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে রেখে সরকারি-বেসরকারি সকল অংশীজনের সহযোগিতা নিয়ে সময়োপযোগী একটি দক্ষতা উন্নয়ন ইকো-সিস্টেম তৈরি ও বাস্তবায়ন করার অন্যতম লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।