যুক্তরাষ্ট্রে এ সপ্তাহর শেষে আবার বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই নৃশংস ঘটনায় মৃত্যু হয় একজন সেনাসহ অন্তত ছয়জনের। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শিকাগো, ওয়াশিংটন, পেনসিলভেনিয়া, সেন্ট লুইস, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া এবং বাল্টিমোরে চলে এই দুষ্কৃতী হামলা। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সারা দেশে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা অতিমারির পর এই ধরনের গোলাগুলির ঘটনা, মানুষ হত্যা বেড়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির পাবলিক পলিসির অধ্যাপক ড্যানিয়েল নাগিনের মতে, “এখানে যে নৃশংসতা বেড়েছে তাতে কোন প্রশ্নই নেই”। তিনি জানান, “এর মধ্যে কিছু ঘটনা শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার বিরোধ। যা প্রায়শই হতে দেখা যায়। তবে সেইসব বিরোধে হাতাহাতির চেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বেশি ব্যবহার হয়”।
সূত্রের খবর, রবিবার ভোরে শিকাগো শহরের একটি পার্কিং লটে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। হঠাৎ করে সেখানে গুলি চালাতে শুরু করে এক দুষ্কৃতীকারি। ঘটনায় প্রায় ২৩জন আহত এবং একজন নিহত হয়।
অন্যদিকে, শনিবার মধ্য পেনসিলভেনিয়ায় পুলিশ ব্যারাকে এক বন্দুকধারীর হামলায় একজন সেনা সদস্য নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হন। তবে একটি ভয়ানক বন্দুক হামলার পর ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, সেন্ট লুই শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত অফিসে রবিবার ভোরে বন্দুকধারীর গুলিতে একজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর নিহত হয় এবং আরও নয়জন আহত হয়।