সিলেট পর্বে আজ হাইভোল্টেজ ম্যাচে লিটনের কুমিল্লার মুখোমুখি হয় সাকিবের রংপুর। এমন ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আগে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রংপুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে থামে কুমিল্লা। এতে ৮ রানের জয় পায় নুরুল হাসান সোহানের দল।
আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি রংপুরের। পাওয়ার প্লের ৩ ওভার শেষ করার আগেই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং হারিয়ে বসেন উইকেট। বড় শট খেলতে এগিয়ে এসে স্টাম্পড হয়েছেন ১৪ রানে থাকা কিং। এরপর বাবর আজমকে সঙ্গ দিতে আসেন ফজলে মাহমুদ রাব্বি। এই জুটিতে ৫৫ রান যোগ হলেও, রান ওঠেছে ধীরগতিতে। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে এসে আলিস আল ইসলাম খরচ করেন ১৯ রান। ফলে ৪৭ রান তোলে শুরুর পাওয়ার প্লে শেষ করে বাবর আজম ও ফজলে রাব্বি।
এই জুটি জমে গিয়ে চোখ রাঙানি দিচ্ছিল কুমিল্লাকে। তখনই ত্রান কর্তা হয়ে রংপুর রাইডার্সের পাক অলরাউন্ডার খুশদিল শাহর আগমন। খুশদিলের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেই বাবর আজমকে আউট করে কুমিল্লাকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে আরও এক ধীরগতির ইনিংস খেলে যান বাবর। তার ৩৭ রানের ইনিংস আসে ৩৬ বলে।
সঙ্গী আউট হলে উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাব্বিও দলীয় ৮৯ রানে মুস্তাফিজুর রহমানে বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৩০ রান করে রাব্বি। এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই মিলে রংপুর রাইডার্সের সংগ্রহ টানতে থাকেন। শামীম পাটোয়ারী অবশ্য শুরু থেকেই ছিলেন বেশ ধীরগতির, একসময় ১২ বলে তার নামের পাশে ছিল ৬ রান।
এরপর রানের গতি বাড়ানো আর বাউন্ডারির চাহিদায় দ্রুতই বিদায় নিতে হয় শামীমকে। নিজের নামের পাশে ১৪ রান যোগ করতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। শেষ দিকে আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ২০ বলে ৩৬ রানে ক্যামিও ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর। কুমিল্লার হয়ে বল হাতে রেমন রেইফার নেন সর্বোচ্চ ২টি উইকেট।