ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চট্টগ্রামে করা এক মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট, তবে ঢাকায় করা মামলায় জামিন আবেদনের বিষয়টি দুই মাসের জন্য স্ট্যান্ড ওভার (মুলতবি) রেখেছে আদালত।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের মামলায় বাবুলের জামিন আবেদন নাকচ করেছিল বিচারিক আদালত। পাশাপাশি ঢাকায় করা মামলায়ও জামিন নাকচ করা হয়। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
স্ত্রী হত্যা মামলায় ২০২১ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হয়ে বাবুল বর্তমানে কারাগারে আছেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা গত বছরের ১৯ অক্টোবর খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। মামলায় বাবুল আক্তার ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়াকে আসামি করা হয়।
মামলায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা-অসত্য তথ্য সরবরাহ-প্রচারের অভিযোগ আনা হয়।
একই অভিযোগে ঢাকার ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন পিবিআইপ্রধান বনজ কুমার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মাহমুদা হত্যা মামলা নিয়ে আসামিরা ফেসবুক-ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে পিবিআই ও সংস্থাপ্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাবুল, হাবিবুর ও ওয়াদুদের যোগসাজশে বিদেশে থাকা ইলিয়াস মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এই মামলায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই।
এই মামলায় চলতি বছরের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত, যা এখন বিচারাধীন।