গাজায় বিরতিহীন হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। অনবরত বিমান হামলায় উপত্যকাটি ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে প্রায়।
জায়গায় জায়গায় ধ্বংসস্তূপ। আর এসবের নিচে চাপা পড়েছে অন্তত ১০০০ ফিলিস্তিনি।
অনবরত এ হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে। আহতও প্রায় ১০ হাজার।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলের দাবি- গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন।
টানা এক সপ্তাহ ধরে দখলদাররা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যারা নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা ব্যাপক। ভাবনগুলোয় হামলার ২৪ ঘণ্টা পর বহুজনকে বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, দখলদাররা খাবার-পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহসহ সব ধরনের সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ায় মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে গাজাবাসী। হাসপাতালগুলোয় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন এলাকায় মৃতদেহ আইসক্রিমের ফ্রিজে রাখা হচ্ছে। বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় খান ইউনিস হাসপাতালের অবস্থাও করুণ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ বলেছে, পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ গাজার হাসপাতালগুলো চালু রাখতে মাত্র ২৪ ঘণ্টার জ্বালানি অবশিষ্ট আছে। এতে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়তে পারে হাজারো রোগী।
ইসরায়েলি হামলার পর গাজার চারটি হাসপাতাল বর্তমানে একেবারে বন্ধ। এ ভূখণ্ডের আরও ২১ হাসপাতাল খালি করে দিতেও নির্দেশ দিয়েছে দখলদাররা। জাতিসংঘ বলছে, হাসপাতাল থেকে জোরপূর্বক রোগীদের সরিয়ে দেওয়া হলে সেটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।