পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে আরেক মামলায় দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। এছাড়াও পিটিআই নেতা শাহ মাহমুদ কুরেশিকেও একই সাজা দেওয়া হয়েছে।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সাইফার (সরকারি গোপন তথ্য প্রকাশ) মামলায় দুইজনকে এই সাজা দিয়েছে পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী রয়েছেন ইমরান খান। সেখানেই বসেছিল আদালত।
খবরে বলা হয়েছে, আদিয়ালা কারাগারে দুই পিটিআই নেতার উপস্থিতিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এই রায় ঘোষণা করেন।
পিটিআই এর মুখপাত্র জুলফিকার জানান, রাওয়ালপিন্ডির গ্যারিসন শহরের একটি কারাগারে এই রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে এই মামলায় ইমান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশিকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়।
২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। বর্তমানে একটি দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি।
পাকিস্তানে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে পিটিআই তাদের দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে পারবে না। এছাড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইমরান খানকেও। এবার নতুন করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হলো ইমরান খানের বিরুদ্ধে।
সাইফার মামলা কী?
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের প্রমাণ হিসেবে একটি তারবার্তা ফাঁস করতে চেয়েছিলেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বলছে, ওই তারবার্তার মাধ্যমে ইমরান প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, পাকিস্তানের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ইমরানের ওই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।