ঘরের মাঠে আফগানিস্তানকে চাপে রেখে স্বস্তিতে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সফরকারীদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে লড়ছে স্বাগতিকরা।
সকালে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী। প্রায় চার বছর পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে মুখোমুখি দুই দল।
বুধবার শুরুতেই উইকেট হারালেও মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী মিরাজের ৭২ রানের জুটিতে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩৬২ রানে দিন শেষ করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দিনের শেষ বেলাটি নিজেদের করে নিয়েছে লিটন দাসের দল। বাংলাদেশের ১২ তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে লিটনের অভিষেক হয়েছে।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। অভিষিক্ত নিজাত মাসুদের করা প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেটকিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন ১ রান করা জাকির। শুরুর এই ধাক্কা সামলে প্রথম সেশন নির্বিঘ্নে পার করেন জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
দিনের প্রথম সেশনেই ৫৮ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেন শান্ত। আর দ্বিতীয় সেশনে ফিফটির দেখা পান জয়। ইনিংসের ৩৫তম ওভারের শেষ বলে দৌড়ে ৫ রান নিয়ে ফিফটি পূরন করেন তিনি। তার ফিফটির সময় অন্যরকম এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হন ক্রিকেটভক্তরা।
জহিরের করা সেই বলটি কাট করে থার্ড ম্যান অঞ্চলে পাঠান জয়। দৌড়ে সহজেই ২ রান নেন তিনি ও শান্ত। এ সময় ওভার থ্রো হলে আরো এক রান নেন দুজন। আফগান ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় আরেকটি ওভার থ্রো আসে। যার ফলে আরো ২ রান নেন তারা। এর মাঝে ফিফটিও পূরণ করেন টাইগার ওপেনার।
এর একটু পরই ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান শান্ত। হামজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। সেঞ্চুরি করতে ১১৮ বল খেলেন এ ব্যাটার। তার মতো সেঞ্চুরির পথে ছিলেন জয়ও। তবে ব্যক্তিগত ৭৬ রানে রহমত শাহের স্পিনে পরাস্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন এ ওপেনার।
তৃতীয় সেশনের শুরুতেই ফেরেন মুমিনুল হক। এ ব্যাটার ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। তার কিছু পরে মাসুদের বলে বোল্ড হয়েছিলেন শান্ত। তবে নো বলের কল্যাণে জীবন পান তিনি। অবশ্য এরপর আর ৩ রান যোগ করেই ১৪৬ রানে সাজঘরে ফেরেন শান্ত।
শেষ বিকেলে বাংলাদেশের হতাশা বাড়ান লিটন দাস। জহির খানের বলে পরাস্ত হন তিনি। স্লিপে ইব্রাহিম জাদরানের তালুবন্দী হওয়ার আগে করেন মাত্র ৯ রান।
এরপর ক্রিজে আসেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজ। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। দিনের শেষ বেলাতে মুশফিক ৪১ ও মেহেদী ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আফগানিস্তানের হয়ে নিজাত মাসুদ সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেছেন।