লাক্ষ্যা দ্বীপ নিয়ে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের টানাপড়েন নতুন মাত্রা পেয়েছে। চলমান কূটনীতিক বিরোধের মধ্যেই এবার দ্বীপরাষ্ট্র থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারে সময় সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। ভারতকে ১৫ মার্চের আগেই মালদ্বীপ থেকে ভারতের সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছে মালে।
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজু ভারতকে ১৫ মার্চের আগেই তাঁর দেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছেন। সম্প্রতি ভারতের সাথে মালদ্বীপের কূটনৈতিক বিরোধের মাঝেই মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নয়াদিল্লীর কাছে এ প্রস্তাব করেছেন। খবর ইন্ডিয়া টুড ও এনডিটিভি।
চীন থেকে ফেরার পরপরই মুইজ্জু এ প্রস্তাব দিলেন। এর আগে দেশটির ক্ষমতা নিয়েই ভারতকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর দেশ থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছিলেন । চীনপন্থী মুইজ্জু নির্বাচনের আগেই ভারত খেদাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছর ক্ষমতায় এসেছিলেন।
রোববার মালের পক্ষ থেকে দিল্লিকে দেয়া হয়েছে চিঠি। সে চিঠিতে ১৫ মার্চের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের জন্য বলা হয়েছে মোদী সরকারকে। সম্প্রতি লাক্ষ্যা দ্বীপ বিতর্কের মাঝেই চীন সফরে যান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। দেশে ফেরার পরেই সেনা প্রত্যাহারের চিঠি, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। সেটির পালে হাওয়া লাগে সম্প্রতি লাক্ষ্যা দ্বীপ নিয়ে বিতর্কে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর লাক্ষ্যা দ্বীপ সফর নিয়ে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী অবমাননাকর মন্তব্য করলে শুরু হয় মালে-দিল্লি টানাপোড়েন।
তিন মন্ত্রীর সেই মন্তব্যের পর ভারতীয়রা মালদ্বীপকে বয়কট করে এবং এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ‘বয়কট মালদ্বীপ’ ট্রেন্ডও বেশ জোড়েসোরে আলোচিত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, মুইজ্জু সম্প্রতি বলেছিলেন যে তার দেশ ছোট কিন্তু হিংসাপরায়ন না।