শীতজনিত রোগে চট্টগ্রামে হঠাৎ বেড়েছে শিশু মৃত্যুর হার। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। হাসপাতালে দিনে ভর্তি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ শিশু। মারা যাচ্ছে ৪ থেকে ৫ জন। মৃত্যুহার ৭ থেকে ৮ শতাংশ। চট্টগ্রাম মেডিকেলের চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীর চাপ যেভাবে বাড়ছে, তাতে মাত্র ১০টি আইসিইউসহ হাসপাতালের সীমিত সক্ষমতা দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য ওয়ার্ডের চিত্র এটি। রোগীর ভিড়ে তিল ধারনের ঠাঁই নেই। একটি বেডে দুই থেকে তিন জন করে শিশু ভর্তি করে চাপ সামলানোর চেষ্টা চলছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর ৯৫ ভাগই শীতজনিত ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডাইরিয়া, খিচুনি রোগে আক্রান্ত।
চিকিৎসাধীন শিশুদের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ এসেছে গ্রামাঞ্চল বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকা থেকে। অভিভাবকরা জানান, শৈত্য প্রবাহের কারনে হঠাৎ শিশুদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। শীতের তীব্রতার সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শুধু চমেক হাসপাতালেই নয় বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারী ক্লিনিকগুলোর চিত্রও একই।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতি বছর জানুয়ারির শেষে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়লেও এবারের চিত্র আলাদা। কারণ অন্যান্যবার ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সী শিশুরা আক্রান্ত হলেও এবার এক মাস থেকে তিন মাস বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। একারণে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। শিশু রোগীদের জন্য মাত্র ১০টি আইসিইউ বেড আছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু দিনে ২০ থেকে ২৫টি শিশুর আইসিইউ প্রয়োজন। তাই সীমিত সক্ষমতা দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ছে।