বিএনপির ডাকা আন্দোলনে দফায় দফায় ট্রেনে অগ্নিসংযোগে ক্ষতির পাল্লা ভারি হয়েছে। আগুনে পুড়ে অনেকের জীবন থেমে গেছে। অনেকে দগ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছেন বার্ন ইউনিট হাসপাতালের বেডে। সরকারি এই সম্পদ রক্ষা ও যাত্রীদের যানমালের নিরাপত্তার পাশাপাশি ট্রেনে নাশকতাকারীকে চিহ্নিত করতে ট্রেনকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। ইতোমধ্যে এটি বসানোর কাজও শুরু হয়েছে। যা রেলওয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে সরাসরি মনিটরিং করা হবে বলে জানা গেছে।
সংশিষ্ট সুত্র জানায়, প্রথম ধাপে যাত্রীদের চাহিদা মোতাবেক আন্তঃনগর ট্রেনে সিসি ক্যামরা বসানো হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে অন্যান্য ট্রেনে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। ইতোমধ্যে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি থেকে এই কাজ শুরু হয়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতী ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে ১২টি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনগুলো পুরোপুরি সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে বলে জানিয়েছে একাধিক সুত্র। যেসব স্টেশনে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা নেই সেখানেও লাগানো হচ্ছে। প্রতিটি ট্রেনের সামনে-পেছনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি রেলওয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
রেলওয়ে পুলিশ বলছে, সিসি ক্যামেরা থাকলে নাশকতার পাশাপাশি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপও রোধ করা সম্ভব হবে। কেউ নাশকতা কিংবা পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটালে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সহজ হবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতার ঘটনায় রেলের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের জানমালেরও ক্ষতি হয়েছে। নাশকতা এড়াতে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। প্রথমে কয়েকটি ট্রেনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।