ফটিকছড়িতে ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের পণ্য সরবরাহের কাজ করতেন মঞ্জু। টাকার লোভে তার সহযোগীরা মিলে মহিউদ্দিনকে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরই গা ঢাকা দেন আসামি মঞ্জু। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর নগরীর চান্দগাঁও এলাকা থেকে দায়ের করা হত্যা মামলার আসামি মঞ্জুকে গ্রেফতার করে র্যাব।
১২ জানুয়ারি শুক্রবার র্যাবের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় মঞ্জু। তাকে ফটিকছড়ি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেফতার মঞ্জু ফটিকছড়ি থানাধীন রোসাংগিরী গ্রামের মো. শফির ছেলে।
র্যাব জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট ফটিকছড়ির নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ওই এলাকার ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন। ১০ দিন পর ১ সেপ্টেম্বর ফটিকছড়ির নিশ্চিন্তপুর দীঘিপাড় এলাকার গহীন জঙ্গল থেকে তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামি মঞ্জু মিয়া পলাতক ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মঞ্জু নিহত ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের ব্যবসায়িক পণ্য সরবরাহের কাজ করতেন। ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট রাতে মঞ্জুসহ তার অন্য সহযোগীরা টাকার লোভে মহিউদ্দিকে হত্যা করে নিশ্চিন্তপুর দীঘিপাড় জঙ্গলে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।