ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) এর ফাইনালে ভারতকে ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে অস্ট্রেলিয়ার। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৪ রানে অলআউট হয় ভারত।
চতুর্থ দিনের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান ছিল টিম ইন্ডিয়ার। রবিবার মাত্র ৭০ রানে ৭ উইকেট হারায় তারকাখচিত ভারতীয় দল। টিমে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, শুভমন গিল, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্ক রাহানের মতো বড় বড় তাড়কারা থাকলেও এক ইনিংসেও ৩০০ রান করতে পারেনি ভারত।
আরও একবার নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল অস্ট্রেলিয়া। আইপিএলের দারুণ ছন্দ টেস্টের বিশ্বকাপে অব্যাহত রাখতে ব্যর্থ কোহলি এবং গিল। অধিকাংশ ভারতীয় ক্রিকেটার টানা দুই মাসের আইপিএল খেলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে নেমেছে।
রবিবার সকালের ওভাল দেখল ভারতের ব্যাটিং ভরাডুবি। প্রথম সেশনে মুড়ি মুড়কির মতো উইকেট হারাল টিম ইন্ডিয়া। লড়াই করতে ব্যর্থ ভারতীয় দল। মনে হয়েছিল শেষদিন অন্তত শেষ সেশন পর্যন্ত ম্যাচ গড়াবে। কিন্তু দিনের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের কাছে আত্মসমর্পণ ভারতীয় ব্যাটারদের।
৪৪৪ রান তাড়া করতে নেমে পঞ্চম দিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। ২০৯ রানে হার। প্রথম ইনিংসে অজিঙ্ক রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা এবং শার্দূল ঠাকুরের লড়াইয়ে তিনশোর কাছাকাছি পৌঁছেছিল ভারত। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে এদের মধ্যে দু’জন শূন্য রানে ফেরেন। কিছুটা লড়লেন অজিঙ্ক রাহানে। ১০৮ বলে ৪৬ রান করে আউট হন।
দিনের শুরুতেই ফিরে যান বিরাট কোহলি। চতুর্থ দিনের শেষে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। এদিন মাত্র ৫ রান যোগ করে বোল্যান্ডের বলে স্লিপে স্টিভ স্মিথের হাতে ধরা পড়ে ৪৯ রানে ফেরেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। একই ওভারের তিন বলে দুই উইকেট নিয়ে এদিন অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে দেন হ্যাজেলউডের পরিবর্তে খেলা স্কট বোল্যান্ড। একই ওভারে মাত্র এক বলের ব্যবধানে কোহলি এবং জাদেজার আউট আজকের ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলা যায়। প্রথম বলেই শূন্য রানে ফেরেন ভারতের সেরা অলরাউন্ডার।
প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরান করা শার্দূলও শূন্য। শেষদিকে শ্রীকর ভরত ২৩ করলেও খুব বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। ভারতের টেলএন্ডকে গুঁড়িয়ে দিতে বিশেষ সময় খরচ করেনি অজি বোলাররা। নাথান লিয়ন ৪ উইকেট নেন এবং ৩ উইকেট নেন স্কট বোল্যান্ড।
লিয়নের স্পেল দেখে হয়তো আবার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে না নেওয়ার জন্য হাত কামড়াবেন রোহিত, দ্রাবিড়রা।