খুলনার জনসভা মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৩ নভেম্বর, সোমবার ৩টা ২০ মিনিটে খুলনার সার্কিট হাউস ময়দানের মঞ্চে উঠে সমবেত নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ান ও উচ্ছ্বসিত জনতার সম্ভাষণ গ্রহণ করেন তিনি।
এর আগে বেলা ১টায় হেলিকপ্টারযোগে খুলনায় পৌঁছান তিনি। পৌনে ১১টায় মঞ্চের প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুরুতে দলের সাংস্কৃতিক সংগঠন রূপান্তরের শিল্পীর বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে উপজীব্য করে একক ও সমবেত পরিবেশনা করেন। এর পর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তৃতা শুরু করেন। এ সময় ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভাতিজা বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল এমপি। বক্তব্য দেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একে এনামুল হক শামীম, জলবায়ু উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মৎস্য প্রতিমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এসএম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, পারভীন জামান কল্পনা, নির্মল কমার চ্যাটার্জি প্রমুখ।
এ সময় মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল প্রমুখ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষ্যে ভোর থেকে নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনতা ময়দানে প্রবেশ করতে থাকেন। সকাল ১০টার আগেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও উচ্ছ্বসিত জনতার উপস্থিতিতে পুরো খুলনা শহর লোকারণ্যে পরিণত হয়। খুলনা সদর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকা নড়াইল, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, কয়রাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসেন।
ভোর হতেই বৃহৎ শোডাউন নিয়ে সমাবেশে আসেন নড়াইলের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এর পর দুপুরে নেতাকর্মীদের নিয়ে সঙ্গে সমাবেশস্থলে আসেন বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়।