Google search engine
প্রচ্ছদআন্তর্জাতিকহামাসের ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের প্রধানকে হত্যার দাবি

হামাসের ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের প্রধানকে হত্যার দাবি

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বৃহস্পতিবার দাবি করেছে, তারা একটি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের প্রধানকে হত্যা করেছে এবং গাজায় হামাসের একটি ড্রোন উৎপাদন কারখানা এবং অস্ত্রের গুদাম আবিষ্কার করেছে।

আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থা (আইএসএ) এবং আইডিএফ গোয়েন্দাদের ওপর ভিত্তি করে একটি যুদ্ধবিমান হামাসের সেন্ট্রাল ক্যাম্প ব্রিগেডে হামলা চালিয়েছে। এতে গোষ্ঠীটির ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটের প্রধান ইব্রাহিম আবু-মাগসিব নিহত হয়েছেন। মাগসিব ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও আইডিএফ সেনাদের দিকে নির্দেশিত অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, স্থল বাহিনীকে সহায়তার অংশ হিসেবে ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজা উপত্যকায় আইডিএফ সেনাদের আক্রমণে ব্যবহৃত হামাসের ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পোস্টে আঘাত করেছে। হামাস তাৎক্ষণিকভাবে মাগসিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি।

আইডিএফ আরো জানিয়েছে, তারা গাজার একটি আবাসিক ভবনের ভেতরে হামাসের একটি ড্রোন তৈরির কারখানা ও অস্ত্রের গুদামের খোঁজ পেয়েছে। তারা বলেছে, আইডিএফ সেনারা মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি) ও অস্ত্র তৈরি এবং সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হামাসের একটি জায়গা আবিষ্কার করেছে।

উত্তর গাজার শেখ রাদওয়ান পাড়ার কেন্দ্রে স্কুলের কাছাকাছি একটি আবাসিক ভবনে জায়গাটি অবস্থিত।
এর আগে আইডিএফ বলেছিল, তারা উত্তর গাজা উপত্যকার পশ্চিম জাবালিয়ায় ১০ ঘণ্টার যুদ্ধের পর হামাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্ত ঘাঁটি দখল করেছে। ফাঁড়ির দখল নেওয়ার সময় সেখানে থাকা হামাস ও ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধ করে। স্থল ও ভূগর্ভস্থ—উভয় রুটে লড়াই হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

এদিকে গাজা উপত্যকার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরের বেশ কয়েকটি ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৬৫ ​জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে।

৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালালে প্রায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়। পাশাপাশি ২৪০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এটি ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক হামলার মধ্যে একটি। এর পরপরই ইসরায়েল গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।

হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সূত্র : আল অ্যারাবিয়া

spot_img
spot_img

এই বিভাগের আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম

সারাদেশ

বিশেষ-সংবাদ

বিনোদন