অভিনেত্রী হিমুর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি নামের একজন গ্রেফতার হয়েছেন। ০৩ নভেম্বর শুক্রবার ঢাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের কথা জানান র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আল আমিন সরকার।
তিনি বলেন, “উত্তরা (পশ্চিম) থানায় দায়ের করা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় তিনি একমাত্র আসামি।”
এ বিষয়ে পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
হিমুকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর সড়কে একটি ভবনের নিজের ফ্ল্যাটে থাকতেন এই অভিনেত্রী।
উত্তরা (পশ্চিম) থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, “আমরা যতটুকু জেনেছি নিজের ফ্ল্যাটে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।”
বিষয়টি নিয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম জানান, হাসপাতালে যে ছেলেটি নিয়ে এসেছিল, সে হিমুকে রেখে পালিয়ে যায়।
অভিনয় শিল্পী সংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ৪৬ মিনিটে হিমুর একজন বন্ধু ও মিহির হাসপাতালে তাকে নিয়ে আসেন। উপস্থিত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
“তার গলায় হালকা দাগ দেখতে পাওয়ায় ডাক্তার পুলিশ ডাকেন। পুলিশ ডাকাতে সেই বন্ধু চলে যান। মৃত্যুর কারণ পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।”
শুক্রবার বাদ জুমা চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে হিমুর জানাজা শেষে লক্ষ্মীপুরে মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করার কথা রয়েছে।