চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চবি শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ এবং প্রক্টর অফিসে তালা দেওয়ার ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিন সদস্য বিশিষ্ট এসব কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (০২ জুন) বিকাল সাড়ে চারটায় চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার।
গত বুধবার ক্যাম্পাসের ঢাকা হোটেলে টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডা ও পরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে আলাওল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম, সদস্য আমানত হলের প্রভোস্ট প্রফেসর নির্মল কুমার সাহা, সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর হাসান মোহাম্মদ রোমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে আবদুর রব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. দানেশ মিয়া, সদস্য করা হয়েছে শাহজালাল হলের প্রভোস্ট প্রফেসর জামাল উদ্দিন, সহকারী প্রক্টর মোর্শেদুল আলমকে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি না পেয়ে প্রক্টর অফিসে তালা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ, সদস্য প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপনীয় শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিম।
চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রায়ই আমাদের কাছে চাকরি দেওয়ার দাবি করেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে সুপারিশও আসে। চাকরি দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে। নিয়মের বাইরে গিয়ে কাউকে চাকরি দেওয়া যায় না। যারা এ কাজ করেছে, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।