প্রথম ভূমিকম্পের চারদিন পর বুধবার স্থানীয় সময় ভোর প্রায় ৫টা ১০ মিনিটের দিকে ৬ দশমিক ৩ মাত্রায় দ্বিতীয় আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হেরাত শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার উত্তরে।
নতুন ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনও পরিষ্কার হয়নি। শনিবারের ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি হারানো অনেকেই এ ভূমিকম্পের সময় খোলা জায়গায় ঘুমিয়ে ছিলেন।
ভূমিকম্প দূর্গতরা কম্বল, খাবার ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে ভুগছেন।
এর আগে শনিবারের ভূমিকম্পটিও সকালে হয়েছিল। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল জিনদাজান জেলা হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ইরান সীমান্তের কাছে। তখন মূল ভূমিকম্পের পর আরও কয়েকটি বড় ধরনের পরাঘাত হয়।
এতে অন্তত ১১টি গ্রাম পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি আরও চারটি জেলা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো থেকে আসা ছবিতে দেখা গেছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কায় বহু ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধসে পড়েছে।
আফগানিস্তানের তালেবান সরকার জানিয়েছে, শনিবারের ভূমিকম্পে অন্তত ২৪০০ জন নিহত ও ২০০০ এর বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবিক দপ্তর ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১২৯৪ ও আহত ১৬৮৮ বলে জানিয়েছে। এর পাশাপাশি আরও ৪৮৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা; কিন্তু বলেছে, হতাহতের এই সংখ্যা শুধু জিনদাজান জেলার পরিসংখ্যান।
রয়টার্স জানিয়েছে, হতাতের চূড়ান্ত সংখ্যা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনান সায়ীক।
আফগানিস্তান ইউরেশিয়ান ও ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত হওয়ায় এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়, বিশেষকরে দেশটির হিন্দুকুশ পবর্ত অঞ্চলে।